করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ মারা গেছেন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে। তবে করোনায় মৃত্যুর সঠিক হিসাব নিয়ে শুরু থেকেই দেশ বা সংস্থাভেদে পার্থক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ৪ লাখ ৪৯ হাজার ২৭ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ লাখ ৪৯ হাজার ৯৭২ জন।
এ ছাড়া পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার শুরু থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের করোনাবিষয়ক হালনাগাদ তথ্য দিয়ে আসছে। তাদের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ৪৬৩ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ লাখ ৮ হাজার ২০৩ জন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সও করোনার তথ্য সংরক্ষণ ও হালনাগাদ করে আসছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় মারা গেছেন ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৫ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ লাখ ৫৭ হাজার ২৬৯ জন।
বিশ্বে যত সংস্থা করোনার তথ্য হালনাগাদ করছে, তাদের কারও পরিসংখ্যান কারও সঙ্গে মিলছে না। কম-বেশি ব্যবধান থাকছেই। তবে করোনায় আক্রান্ত সবগুলো দেশ সব সময় মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান যে দিচ্ছে, তাও নয়।
চীনের বিরুদ্ধে করোনায় মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য প্রকাশ না করা অভিযোগ আছে। এ ছাড়া ব্রাজিলের করোনার তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগও ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। করোনায় মৃত্যুর তথ্য গোপনের এমন সব ঘটনা আরও অনেক দেশেই ঘটছে।
এ ছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছে অনেকেই। আবার অনেকে জানতেই পারছে না, মৃত্যুটা কেন হলো। এসব ক্ষেত্রে পরীক্ষা না হলে এই মৃত্যুর পরিসংখ্যান করোনার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে না। ফলে বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যুর যে পরিসংখ্যান বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া যাচ্ছে, তা যে প্রকৃত সংখ্যা নয়, সেটা মোটামুটি নিশ্চিত।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, করোনার তথ্যের যথার্থতা নির্ভর করে কত সংখ্যক মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার ওপর। আর বিভিন্ন দেশের সরকার হাসপাতালের বাইরের মৃত্যুর তথ্য তাদের গণনায় অন্তর্ভুক্ত করছে কি না।
Leave a Reply